এবার রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের আলোচনা সভার মঞ্চে বঙ্গবন্ধু পরিষদ শিক্ষক নেতা এবং ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদ আবু সাঈদকে নিয়ে বিভ্রান্তিকর কলাম লেখককে স্মারক সম্মাননা দেয়ার প্রতিবাদে নিজের স্মারক সম্মাননা গ্রহণ না করার ঘটনাকে 'শিশু সুলভ কাজ' বলে দাবি করেছেন অভিযোগ ওঠা কলা অনুষদের দিন ড. শফিকুর রহমান। এতে কলা অনুষদকে অপমানিত করা হয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। নিজের ফেসবুক পোস্টে এই দাবি করেন ড. শফিক।
গতকাল শনিবার (১২ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টার পরে নিজের ফেসবুক আইডিতে এই পোস্ট করেন তিনি। ফেসবুক পোস্টে ড. শফিক দাবি করেন 'আবু সাঈদ শহীদ হওয়ার পর সর্বপ্রথম কলা অনুষদ শোক প্রস্তাব জানিয়েছিলো। আবু সাঈদ শহীদ হওয়ার পর কলা অনুষদের ডিন জানাজায় ছুটে গিয়েছিলো। আজকে কলা অনুষদের ডিনের দিকে আঙুল তুলে অসম্মান করা হলো।
ব্যক্তি আর অনুষদের ডিন দুইটা আলাদা বিষয়। অনুষদের ডিনকে অসম্মান করা মানেই গোটা অনুষদকে অসম্মানিত করা। আজকে কলা অনুষদকে মঞ্চে তুলে অসম্মানিত করা হয়েছে। একজন শিক্ষার্থীর বক্তব্য শুনে কোনোরূপ যাচাই-বাছাই ছাড়াই উপদেষ্টা নাহিদের সম্মাননা স্মারক প্রত্যাখান করা অত্যন্ত শিশুসুলভ কাজ হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা অনুষদের এই অসম্মানে আমি ভীষণ মর্মাহত।'
গতকাল শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুর সোয়া ২টায় রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা স্মারকমঞ্চে অনুষ্ঠান চলাকালে সম্মাননা স্মারক গ্রহণ না করার ঘোষণা দিয়েছিলেন তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা নাকি ইসলাম। ওই প্রেক্ষাপটে অভিযোগ ওঠা শিক্ষক কলা অনুষদের দিন ড. শফিকুর রহমানের (শফিক আশরাফ) এই ফেসবুক পোস্ট।